মোঃ হাসান মিয়া:
পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুরে সবজির লাগামহীন দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের সাধারন মানুষরা।
বিশেষ করে মধ্যবিত্ত মানুষরা চরম বিপাকে পড়েছে। ৫০-৬০ টাকা কেজি দরের নীচে উপজেলার গ্রামীন বাজার গুলোতে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। মাঠ পর্যায় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে বিক্রেতারা সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্য অমান্য করে চড়া দামে সবজি বিক্রি করায় এই লাগামহীনতা আরো চরমে পৌঁছেছে।
স্থানীয় পাইকাররা বলছেন, প্রতি বছর এই সময়ে প্রচুর পরিমান শাকসবজি কৃষকরা গ্রাম থেকে বাজারে আনলেও বন্যা আর দফায় দফায় অতিবৃষ্টির কারণে আগাম জাতের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই বাজারে সবজির আমদানী কমে যাওয়ায় চড়া দামে বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে সবজি চাষীরা বৃষ্টির কারণে আশানুরুপ সবজি চাষ করতে পারে নাই। তাই বাজারে আমদানি কম হওয়ায় পাইকারী কেনা দরের চেয়ে সামান্য কিছু লাভ হাতে রেখে আমি সবজি বেঁচা- কেনা করছি। লাগামহীন ভাবে প্রতিদিনই সবজির দর বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা পর্যায়ে বেচা-কেনা করতে গিয়ে ক্রেতাদের সাথে মনোমালিন্য সহ বাকবিতন্ডার মতো ঘটনা ঘটছে।
তার পরও গত সপ্তাহে চেয়ে এ সপ্তাহে সবজির বাজার কিছুটা কমছে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সবজি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকারি বেঁধে দেওয়া আলুর প্রতি কেজির দর ৩৫ টাকা হলেও আমরা খুচরা বিক্রি করছি ৬০ টাকা। পটল ,করলা ও বেগুন ৭০ টাকা দরে পেঁয়াজ একশত কুড়িটাকা, কপি ১২০ টাকা, ছিম ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কারণ আমরা কিনছি বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।তবে স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে আরো দেরি হবে।
বাজার করতে আসা শিহাব,জানান বাজারে নিত্যপন্য দ্রব্যের মূল্য উর্দ্ধগতি হওয়ায় আমরা পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। সরকারি ভাবে যদি খোলা বাজারে আলুসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যগুলো বিক্রিয় করা হতো তাহলে আমরা উপকৃত হতাম।
Post a Comment