রেলের টিকিট না পেয়ে স্টেশন মাস্টারের পা কেটে ঝুলিয়ে রাখার হুমকি দিলেন যুবদল নেতা - Pabnar Somoy

পাবনা প্রতিনিধি:

টিকিট না পেয়ে পাবনা ঢালারচর রেলের বাঁধেরহাট স্টেশন মাস্টারকে পা কেটে ঝুলিয়ে রাখার হুমকি দিলেন মাসুমদিয়া ইউনিয়নের যুবদল নেতা খালেক বক্স।

মঙ্গলবার(১৬ অক্টোবর) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঢালারচর স্টেশন থেকে বাঁধেরহাট রেল স্টেশনে পৌঁছায় ঢালারচর এক্সপ্রেস।চাহিদার চেয়ে টিকিট কম থাকায় এবং শারদীয় দুর্গোৎসবের ছুটি শেষ হওয়ায় বাড়তি চাপ পরে এই স্টেশনে।

এমতবস্থায় সকাল ৭ টার পরে স্টেশনে এসে টিকিট কাউন্টারের টিকিট কাটতে যায় ঐ যুবদল নেতা।টিকিট না থাকায় কাউন্টার মাস্টার খোকন টিকিট দিতে না পাড়ায় বিভিন্ন হুমকি ধামকি একপর্যায়ে পা কেটে স্টেশনে ঝুলিয়ে রাখার ভয় দেখায় যুবদল নেতা খালেক বক্স এমনটিই অভিযোগ করেছেন বাঁধেরহাট স্টেশন মাস্টার। যেহেতু জনসন্মুখে এমন হুমকি দিয়েছে বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সংবাদিকেরা স্টেশন মাস্টারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান,বাঁধেরহাট রেল স্টেশনটি মূলত ডি গ্রেডের এখানে চাহিদার চেয়ে টিকিটের সংখ্যা খুব কম।আমার স্টেশনে দূরদূরান্ত থেকে যাত্রী আসেন তাদের আমি কোনোদিন শতভাগ টিকিট দিতে পারি না।তারপরও চেষ্টা করি ভিন্ন উপায়ে যাত্রীদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার।সকালে এক ভদ্রলোক তিনি তার মেয়ের জন্য রাজশাহীর টিকিট কাটতে আসেন সকাল ৭টার পরে আমার দেয়া নির্ধারিত টিকিট ইতিপূর্বে সব বিক্রি হয়ে যায়।এ বিষয়টি তাঁকে জানালে তিনি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে আমার সাথে প্রচণ্ড অশানিল ভাষা প্রয়োগ করতে থাকে।এক পর্যায়ে তিনি আমাকে দেখে নিবেন এবং আমার ঠ্যাং কেটে স্টেশনে ঝুলিয়ে রাখবেন এই বলে বলে হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক ফকির বলেন,খালেক বক্স বেড়া উপজেলার যুব দলের কোন পদবি নেতা নয়।তিনি একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক আর একজন শিক্ষক কখনো যুবলের সদস্য হতে পারে না। যুবদলের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক ফকির আরও বলেন,সৈরাচার সরকার পতনের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে ,কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছে।যারা দলের দল বা সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে বেড়া উপজেলা যুবদল কঠোর অবস্থানে থাকবে।

ঘটনার বিষয় জানতে যুবনেতা পরিচয়ধারী খালেক বক্সের সাথে যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করা হলে তার সাথে কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি একাধিকবার কল করেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোঃ আলমগীর হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান,এমন কোন অভিযোগ এখনো আমার কাছে আসেনি।যদি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সে যেই হোক না কেনো তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0/Post a Comment/Comments